কিশোরগঞ্জের ভৈরবের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে বালুবোঝাই বাল্কহেড থেকে একশ বস্তা ভারতীয় শাড়ি, চাদরসহ বিভিন্ন বস্ত্রপণ্য আটক করেছে নৌ-থানা পুলিশ। যার বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা হবে গত শুক্রবার কালিপুর পাওয়ার প্ল্যান্ট এলাকার মেঘনা নদী থেকে বাল্কহেডটি আটক করা হয়।
এ সময় বাল্কহেড সুকানিসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এসময় ১শ বস্তা ভারতীয় চাদর, থ্রি-পিস, শাড়ি, থান কাপড়সহ বাল্কহেডটি জব্দ করা হয়। ভৈরব নৌ-থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আটকরা হলেন, সুনামগঞ্জ সদর জেলার বালিকান্দি গ্রামের মৃত মোবারক মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, একই জেলার মইনপুর গ্রামের সয়ফুল মিয়ার ছেলে জিহান, বরগুনার ডালভাঙ্গা এলাকার রশিদ মিয়ার ছেলে রুবেল, একই জেলার চরগাজি গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে মিজানুর রহমান।
বাল্কহেডের সুকানি রসিদ মিয়া জানান, দুদিন আগে ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে সুনামগঞ্জ থেকে ভারতীয় বস্ত্রের বস্তা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। সুনামগঞ্জ এলাকার আলাউদ্দিন মিয়া নামের এ ব্যক্তির নির্দেশেই মালামালগুলো ঢাকার মেঘনায় নিয়ে যাচ্ছিলেন।
চোরাকারবারি সদস্য জিহান মিয়া জানান, চার হাজার টাকার বিনিময়ে সুনামগঞ্জ এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার কথায় বাল্কহেডের সঙ্গে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন তারা। ঢাকায় গেলে পণ্য বুঝে পাওয়া ব্যক্তিরা তাদের ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে ফেরার বাসে তুলে দেবেন।
এ বিষয়ে নৌ-থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, শনিবার (৪ জানুয়ারি) উদ্ধারকৃত ভারতীয় কাপড়ের বাজার দর জেনে সিজার লিস্ট তৈরি করে মালামালের মূল্য জানা যাবে এ বিষয়ে মামলা হবে বলে তিনি জানান।
টিএইচ